জাহাঙ্গীর আলম,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ গতকয়েক বছর আগে স্রোতস্বিনী রুপে বয়ে চললেও বর্তমানে চর জেগে ধু ধু বালিময় মাঠে পরিনত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নেত্রকোণার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীর উপর দিয়ে বয়ে চলা পিয়াইন নদী।
অপরিকল্পিত খনন এবং সংস্কারের অভাবে নদীটি এখন নাব্যতা হারাতে বসেছে। ফলে নদীর তলদেশে পলি জমে বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে চর। হুমকির মুখে পরেছে বিখ্যাত লেপসিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ও চরম বিপাকে পরেছে স্থানীয়রা। এখন যে নদীতে মাছ চাষ হওয়ার কথা সেখানে চলছে ধানসহ নানান ধরনের কৃষি চাষ।
খালিয়াজুড়ি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের লেপসিয়া বাজার থেকে পাঁচহাট হয়ে রানীচাপুর পর্যন্ত হাওরাঞ্চলের কৃষক ও জেলেদের সুবিধা বিবেচনা করে পুনরায় খনন করে নদীটি পরিপূর্ণ রূপে ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয়দের।
লেপসিয়া গ্রামের কৃষক সুমন মিয়া জানান, গত কয়েক বছর আগেও এই নদীতে অনেক পানি ছিলো। এই নদীর পানি দিয়ে আমরা কৃষি কাজ সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতাম। বছরে কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতো এই নদী থেকে এখন তা ধু ধু মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে।
নদীতে পানি না থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজারে নৌকা ঢুকতে পারছেনা। এজন্য আসতে পারছে না পণ্য বা দুর-দুরান্তের ব্যবসায়ীরা। তাই ধ্বস নেমেছে বছরে কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া এই বাজারটির ব্যবসা খাতে।
খালিয়াজুড়ি উপজেলার ২ নং চাকুয়া ইউনিয়নের সাবেক বিএনপির সভাপতি রহমান মিয়া বলেন, একসময় এই নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা যাতায়াত করতো। আজ এই পিয়াইন নদীতে ধান ও কৃষি চাষ হয় শুধু মাত্র অপরিকল্পিত খননের কারণে।
শুনেছি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পিয়াইন নদীর ৪.৯২ কিলোমিটার খননসহ খাল খনন ও বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২০-২১ অর্থ বছরে। কিন্তু এর পরের বছরেই আবার নদীটি ভরাট হয়ে যায়।
আমরা চাই খননের নামে প্রতি বছর সরকারের টাকা লুট না করে। সঠিক ভাবে নদী ও খাল গুলো খনন করলে এই ভোগান্তির হাত থেকে বাচরে ইউনিয়ন বাসী।
পিয়াইন নদীর জলমহাল ইজারাদার মোঃ খলিল মিয়া জানান, প্রতি বছর সরকার'কে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছি। গত ৩ আগে নদীটি খনেনর পরে আবার ভরাট হয়ে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে। ফলে আমরা অনেক বড় ক্ষতি মধ্যে আছি।
ইজারাদারকৃত নদীর কিছু কিছু মসজিদ ও মন্দিরের দোহাই দিয়ে বেদখল করে আছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।এভাবে চলতে থাকলে সরকারকে দেওয়া রাজস্বের টাকাও উঠানো মুসকল হয়ে পরবে আমাদের জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ